শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

এশিয়ার ৫ চোখধাঁধানো পাখি

এশিয়া মহাদেশ প্রাণবৈচিত্র্যে ভরপুর, এখানে বিস্তৃত বনাঞ্চল, পর্বতমালা, মরুভূমি এবং নদ-নদীতে বাস করে বহু অনন্য ও বিরল প্রজাতির পাখি। এদের মধ্যে কিছু পাখি তাদের অনন্য রঙ, শারীরিক গঠন, আচরণ ও ডাকের কারণে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। এই নিবন্ধে আমরা এশিয়ার সবচেয়ে অনন্য ৫টি পাখির কথা জানব, যার মধ্যে রয়েছে আমাদের পরিচিত হট্টিটি পাখি।
১. হট্টিটি (Red-wattled Lapwing) প্রকৃতির এক চোখধাঁধানো সতর্ক প্রহরী

হট্টিটি Vanellus indicus বিশেষ ধরণের চোখধাঁধানো জলচর পাখি, যা এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়। এরা মূলত উন্মুক্ত মাঠ, নদীর তীর, কৃষিজমি ও জলাভূমিতে বাস করে। এরা মাঝারি আকারের পাখি, দেহের উপরের অংশ বাদামি, নিচের অংশ সাদা এবং গলা ও বুক কালো রঙের। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর চোখের পাশের লাল রঙের মাংসল অংশ এবং লম্বা লালচে-হলুদ পা।

হট্টিটি খুবই সতর্ক প্রকৃতির পাখি। কেউ এদের বাসার আশেপাশে গেলে জোরে “ডিড-হি-টিট” শব্দে ডেকে ওঠে, যা অনেক দূর থেকে শোনা যায়। এই ডাকের কারণেই বাংলায় এদের “হট্টিটি” নামকরণ করা হয়েছে। বিপদের সংকেত দিতে বা শিকারিদের ভয় দেখাতে এরা ক্রমাগত ডেকে যায়। এরা মূলত ছোট পোকামাকড়, কেঁচো, শামুক ও শস্যদানা খেয়ে বেঁচে থাকে। ধানক্ষেতে এদের উপস্থিতি কৃষকদের জন্য উপকারী, কারণ এরা ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে।

হট্টিটি সাধারণত খোলা মাঠে মাটির উপর সরাসরি ডিম পাড়ে, কোনোরকম কাঠামোগত বাসা তৈরি করে না। ডিম দেখতে ছোট পাথরের মতো হওয়ায় শিকারির চোখে সহজে ধরা পড়ে না। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি মিলেই ডিমের যত্ন নেয় এবং বাচ্চাদের রক্ষা করে।

হট্টিটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বিস্তৃত। শুষ্ক ও আর্দ্র পরিবেশে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে বলে এটি অনেক অঞ্চলে দেখা যায়। এই পাখি এখনও বিপদমুক্ত অবস্থায় আছে (Least Concern – IUCN), তবে কৃষিজমি দখল, জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়া ও দূষণের ফলে এদের সংখ্যা কমতে পারে।

হট্টিটি প্রকৃতির এক অনন্য পাহারাদার, যার সতর্ক ডাক আমাদের আশপাশের পরিবেশের পরিবর্তন সম্পর্কে জানান দেয়। এদের সংরক্ষণ ও নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

20 20241010085545

২. রাজধনেশ (Great Hornbill) এশিয়ার বনের রঙিন রাজা

রাজধনেশ বা গ্রেট হর্নবিল Buceros bicornis দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং চোখধাঁধানো পাখি। এরা মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, ভুটান, নেপাল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার ঘন বৃষ্টিবনে বাস করে। এদের বৃহৎ আকার, উজ্জ্বল হলুদ-কালো ঠোঁট এবং মাথার উপরের অংশের বিশেষ গঠন একে অনন্য করে তুলেছে।

রাজধনেশের দেহ সাধারণত কালো রঙের হয়, তবে গলায় এবং পেটে সাদা পালক থাকে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর বড়, বাঁকা হলুদ ঠোঁট এবং মাথার উপর ক্যাসক নামে পরিচিত অতিরিক্ত শিরস্ত্রাণের মতো গঠন। পুরুষ ও স্ত্রী উভয়েরই এই ক্যাসক থাকে, তবে পুরুষেরটি তুলনামূলকভাবে বড় হয়।

রাজধনেশ প্রধানত ফলভোজী পাখি। এরা বিশেষ করে ডুমুর জাতীয় ফল খেতে ভালোবাসে, তবে মাঝে মাঝে ছোট সরীসৃপ, পোকামাকড় এবং ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণীও খেয়ে থাকে। বনে ফল ছড়িয়ে দিয়ে এই পাখি গাছপালা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রাজধনেশের প্রজনন পদ্ধতি বেশ অনন্য। স্ত্রী পাখি গাছের কোটরে ডিম পাড়ে, এবং পুরুষ পাখি বাইরের দিক থেকে সেই গর্ত কাদা ও ফলমূল দিয়ে প্রায় বন্ধ করে দেয়, শুধুমাত্র একটি ছোট ছিদ্র খোলা রাখে যাতে পুরুষ খাবার সরবরাহ করতে পারে। ডিম ফোটার পর এবং বাচ্চা বড় হলে স্ত্রী বাইরে বের হয়।

এরা মূলত ভারতের পশ্চিমঘাট, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার গহীন বনাঞ্চলে দেখা যায়। আইইউসিএন (IUCN) তালিকা অনুযায়ী রাজধনেশ “Near Threatened” বা প্রায় বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। বন ধ্বংস, আবাসস্থল সংকোচন এবং শিকারিদের কারণে এদের সংখ্যা দ্রুত কমছে।

রাজধনেশ শুধু এশিয়ার বনাঞ্চলের সৌন্দর্য বাড়ায় না, বরং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এদের সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হলে বনাঞ্চলের অন্যান্য জীববৈচিত্র্যও সুরক্ষিত থাকবে।

৩. দুধরাজ (Asian Paradise Flycatcher) সৌন্দর্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক

দুধরাজ Terpsiphone paradisi পাখি মূলত একটি মাছরাঙ্গা। পুরুষ স্বর্গীয় মাছরাঙা লম্বা সাদা লেজ এবং নীল-কালো মাথা একে সত্যিই অনন্য করে তুলেছে। এরা মূলত বনের গভীরে, উদ্যান, পার্ক এবং গ্রামাঞ্চলের বৃক্ষরাজিতে বসবাস করে। পুরুষ দুধরাজের লম্বা, সাদা লেজ এবং কালো-নীল মাথা একে প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি হিসেবে উপস্থাপন করে। স্ত্রী দুধরাজ সাধারণত কমলা-বাদামি রঙের হয়ে থাকে এবং তাদের লেজ ছোট হয়।

পুরুষ দুধরাজের দুটি রঙের বৈচিত্র্য দেখা যায়—একটি সম্পূর্ণ সাদা এবং অন্যটি কমলা-বাদামি রঙের। মাথার উপরের অংশ চকচকে কালো বা নীলচে-কালো হয়, যা সূর্যের আলোয় ঝলমল করে। স্ত্রী পাখিদের রঙ সাধারণত কমলা-বাদামি এবং তাদের লেজ ছোট ও তুলনামূলকভাবে কম আকর্ষণীয়। পুরুষ পাখির লম্বা লেজ অনেক সময় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, যা ওড়ার সময় অসাধারণ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।

দুধরাজ খুবই চঞ্চল ও বুদ্ধিমান পাখি। এরা দ্রুত উড়ে বেড়ায় এবং গাছের ডালে বসে বসে পোকামাকড় ধরতে ভালোবাসে। প্রধানত ছোট পোকামাকড়, মাছি, প্রজাপতি এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। এদের ওড়ার ধরণ খুব আকর্ষণীয়, কারণ এরা দ্রুত ডানা ঝাপটায় এবং বাতাসে ভেসে চলতে পারে।

দুধরাজ সাধারণত গাছের কোটরে বা ডালের ওপর ছোট আকারের কাপের মতো বাসা তৈরি করে।
স্ত্রী ও পুরুষ উভয় পাখি মিলে বাসা তৈরি এবং ডিম ফোটানোর কাজ করে।
ডিম ফুটতে সাধারণত ১৪-১৬ দিন সময় লাগে।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলে এই পাখি দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে কিছু দুধরাজ পরিযায়ী হিসেবে শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে উষ্ণ এলাকায় চলে আসে। দুধরাজ বর্তমানে ‘Least Concern’ বা কম ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে, তবে বন উজাড়ের ফলে এদের আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। এই পাখির সৌন্দর্যের কারণে অনেক পাখিপ্রেমী এদের সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে।

দুধরাজ প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি, যার সৌন্দর্য ও আচরণ মানুষকে মুগ্ধ করে। বন সংরক্ষণ এবং পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে এই অসাধারণ পাখির অস্তিত্ব নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

৪. লাল-মুকুট সারস (Red-crowned Crane) সৌভাগ্যের প্রতীক

জাপানি সারস বা লাল-মুকুট সারস Grus japonensis এশিয়ার অন্যতম বিরল এবং চোখধাঁধানো পাখি। এটি বিশেষভাবে জাপান, চীন, কোরিয়া, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল ও মঙ্গোলিয়ার জলাভূমিতে দেখা যায়। এই পাখিটি জাপানি সংস্কৃতিতে দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয় এবং বহু কাহিনি ও শিল্পকর্মে এর উপস্থিতি দেখা যায়।

লাল-মুকুট সারসের শরীর প্রধানত উজ্জ্বল সাদা রঙের হয়। এর ডানা ও লেজের কিছু অংশ কালো, যা ওড়ার সময় অত্যন্ত মনোরম দেখায়। মাথার উপরের অংশে উজ্জ্বল লাল রঙের চামড়ার স্তর থাকে, যা একে অন্যান্য সারসের থেকে আলাদা করে। লম্বা সরু ঠোঁট ও পা এদের সৌন্দর্য ও আভিজাত্যকে বাড়িয়ে তোলে। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির উচ্চতা ১.৫ মিটার (৫ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে এবং পাখার বিস্তার ২.৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

লাল-মুকুট সারস সাধারণত জলাভূমি, নদীর তীর ও ঘাসযুক্ত এলাকায় বসবাস করে। এরা প্রধানত মাছ, ব্যাঙ, ছোট প্রাণী, শামুক ও জলজ উদ্ভিদ খেয়ে থাকে। শীতকালে বরফঢাকা অঞ্চলে থাকতে পারে এবং খাবারের সন্ধানে পরিযায়ী হয়ে দক্ষিণে চলে যায়। এরা জোড়ায় থাকতে ভালোবাসে এবং আজীবন এক সঙ্গীর সঙ্গে থাকে।

এরা সাধারণত জলাভূমির ছোট দ্বীপে বা লম্বা ঘাসের মধ্যে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী সারস প্রতি মৌসুমে ১-২টি ডিম পাড়ে, এবং উভয় পাখি মিলে তা দেয়। বাচ্চারা ডিম ফুটে বের হওয়ার পর প্রথম বছর মায়ের কাছেই থাকে। লাল-মুকুট সারস মূলত চীন, জাপান, রাশিয়া, কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়ার কিছু অংশে দেখা যায়। শীতকালে কিছু পাখি দক্ষিণ কোরিয়া ও পূর্ব চীনে পরিযায়ী হয়ে যায়।

আইইউসিএন (IUCN) এই পাখিটিকে ‘Endangered’ (বিপন্ন) হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
জলাভূমি ধ্বংস, আবাসস্থল সংকোচন, এবং চোরাশিকার এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলেছে।
বিভিন্ন সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে এদের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

লাল-মুকুট সারস শুধু একটি পাখি নয়, এটি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদের সৌন্দর্য ও মহিমা আমাদের পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হতে শেখায়। সঠিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই অসাধারণ পাখির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি।

৫. হিমালয়ী মনাল (Himalayan Monal) পর্বতের রঙিন রত্ন

হিমালয়ী মনাল Lophophorus impejanus নেপালের জাতীয় পাখি এবং স্থানীয়ভাবে ‘ডানফে’ নামে পরিচিত। এশিয়ার পর্বতশ্রেণির সৌন্দর্যের প্রতীক এই পাখি, যা তার উজ্জ্বল রঙ ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত।

পুরুষ মনালের শরীর অত্যন্ত উজ্জ্বল ও বর্ণিল, যার পালকে নীল, সবুজ, লাল, হলুদ ও বেগুনি রঙের এক অপূর্ব মিশ্রণ দেখা যায়। মাথার ওপর সবুজাভ ঝলমলে ঝুঁটি থাকে, যা একে আরও মনোরম করে তোলে। স্ত্রী মনাল তুলনামূলকভাবে ধূসর-বাদামি রঙের হয়, যা তাদের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে সাহায্য করে। এদের ঠোঁট কালচে ও চোখের চারপাশ হালকা নীল রঙের হয়ে থাকে। পাখার বিস্তার ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং পুরুষ পাখির ওজন প্রায় ২.৫ কেজি হয়।

হিমালয়ী মনাল মূলত ২,১০০ থেকে ৪,৫০০ মিটার উচ্চতায় বসবাস করে, বিশেষ করে নেপাল, ভারত, ভুটান ও তিব্বতের পার্বত্য বনাঞ্চলে এদের পাওয়া যায়। এরা মূলত শীতকালে নিচের দিকে নেমে আসে এবং গ্রীষ্মকালে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে থাকে। খাদ্য তালিকায় মূলত শেকড়, কন্দ, ফল, পোকামাকড় ও ছোট ছোট সরীসৃপ থাকে। মাটির নিচে খাবার খোঁজার জন্য এরা মাটি খনন করতে পারে এবং দলবদ্ধভাবে চলাচল করতে পছন্দ করে।

মনাল সাধারণত গাছের নিচে বা পাহাড়ি ঢালে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী পাখি বছরে ৩-৫টি ডিম পাড়ে এবং প্রায় ২৭ দিন ধরে তা দেয়। বাচ্চারা ডিম ফুটে বের হওয়ার পর দ্রুত হাঁটতে ও খাবার খুঁজতে শিখে যায়।

হিমালয়ী মনাল মূলত নেপাল, ভারত (হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ), ভুটান ও দক্ষিণ তিব্বতের পার্বত্য বনাঞ্চলে দেখা যায়। এরা মূলত ৩,০০০ থেকে ৪,৫০০ মিটার উচ্চতার বনভূমি ও ঘাসযুক্ত এলাকায় থাকতে পছন্দ করে। আইইউসিএন (IUCN) তালিকা অনুযায়ী হিমালয়ী মনাল ‘Least Concern’ (কম বিপদাপন্ন) ক্যাটাগরিতে রয়েছে, তবে শিকার ও বন ধ্বংসের কারণে কিছু অঞ্চলে এদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এদের উজ্জ্বল পালকের জন্য অনেক সময় শিকার করা হয়, যা সংরক্ষণের জন্য হুমকিস্বরূপ।

হিমালয়ী মনাল শুধু একটি সুন্দর পাখি নয়, এটি হিমালয় অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এর সৌন্দর্য ও বন্যপ্রাণীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা সংরক্ষণ প্রচেষ্টাকে আরও উৎসাহিত করতে পারে। পরিবেশ রক্ষা এবং সংরক্ষণ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এই রঙিন পর্বত রত্নকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে পারি।

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Email
ঘুঘু পাখি
প্রাণীজগৎ

ঘুঘু পাখি: প্রকৃতির এক অনন্য সৌন্দর্য

বাংলার প্রকৃতিতে ঘুঘু পাখি এক পরিচিত এবং প্রিয় নাম। এর বৈজ্ঞানিক নাম Streptopelia এবং এটি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়। গ্রামবাংলার পরিবেশে এই পাখি তার

Read More »
হট্টিটি
প্রাণীজগৎ

হট্টিটি: প্রকৃতির এক চঞ্চল প্রহরী

হট্টিটি, বৈজ্ঞানিক নাম Vanellus indicus, আমাদের দেশের একটি পরিচিত এবং চঞ্চল পাখি। এটি “Red-Wattled Lapwing” নামেও পরিচিত। এর দেহের আকৃতি, স্বতন্ত্র ডানা, এবং বিশেষভাবে চোখে

Read More »
কোমোডো ড্রাগন
প্রাণীজগৎ

কোমোডো ড্রাগন: বিশ্বের বৃহত্তম গিরগিটি

কোমোডো ড্রাগন (Komodo Dragon) বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী গিরগিটি। এরা ভ্যারানিডি (Varanidae) পরিবারভুক্ত এবং বৈজ্ঞানিক নাম “Varanus komodoensis”। দৈত্যাকার আকৃতি, শিকার ধরার ক্ষমতা এবং

Read More »
মেরু ভালুক
প্রাণীজগৎ

মেরু ভালুক: আর্টিকের রাজকীয় শিকারি

পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ শিকারি মেরু ভালুক সবচেয়ে শক্তিশালী স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে একটি। এর বৈজ্ঞানিক নাম `Ursus maritimus’, যার অর্থ “সমুদ্রের ভালুক”। বরফে আচ্ছাদিত আর্টিক অঞ্চলে

Read More »