দুটি তরুণ বাইসন ষাঁড় নিজেই টিকা নেওয়া শিখেছে, এমনটাই জানিয়েছে কেন্টের একটি প্রাণী উদ্যান। ক্যান্টারবেরির কাছে ওয়াইল্ডউড পার্কের তত্ত্বাবধায়করা জানিয়েছেন, তারা ষাঁড় দু’টিকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন যাতে তারা স্বেচ্ছায় সূঁচের ওপর ঝুঁকে টিকা নিতে পারে।
এই পদ্ধতিটি প্রচলিত ডার্টিং (অচেতন করার ইনজেকশন) পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাণী আচরণ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বেকি কপল্যান্ড বলেন, “এই আগের পদ্ধতিটি প্রাণীদের জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “ডার্টিং বেশ চাপের এবং মোটেও আরামদায়ক নয়, তাই আমরা এর বিকল্প কিছু খুঁজছিলাম।”
স্বাধীনতার সুযোগ পাচ্ছে বাইসন
মিস কপল্যান্ড বলেন, নতুন দুই বছরের ষাঁড়, ফিউরি ও হেইজকে “অতিরিক্ত স্বাধীনতার সুযোগ” দিতে চেয়েছে তার দল।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা নিজের ইচ্ছায় ইনজেকশনের সিরিঞ্জে ঝুঁকে পড়ে। এতে প্রাণীগুলোর কাছে এই প্রক্রিয়াটি আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।”
টিকাদানের এই পদ্ধতির সঙ্গে বাইসনদের অভ্যস্ত করতে কয়েক মাস ধরে বিস্তৃত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়।
মিস কপল্যান্ড বলেন, “আমরা শুরুতে শান্ত আচরণকে উৎসাহিত করেছি এবং প্রাণীগুলোর সঙ্গে প্রশিক্ষকদের ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার কাজ করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “এরপর আমরা টার্গেট ট্রেনিং করিয়েছি, যেখানে বাইসনদের শরীরের পাশের অংশটি বেড়ার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার অভ্যাস করানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার পরপরই বাইসনরা আবার প্রশিক্ষণে ফিরে আসে, যা দেখায় যে এটি তাদের জন্য আগের পদ্ধতির মতো চাপের ছিল না।” এখন এই পদ্ধতি পার্কের অন্যান্য প্রাণীদের, যেমন এল্ক ও নেকড়ের জন্যও ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
পড়ুন: জীবনানন্দের পাখি : এক ঝাঁক দাঁড়কাক ক্লিক