বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের (১৮৫০-১৯০০) তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণকে দায়ী করা হয়। এছাড়া, প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো পরিস্থিতির কারণে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পৃথিবীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে খরা, বন্যা, ঝড়, দাবানলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই উষ্ণায়নের ধারা অব্যাহত থাকলে পৃথিবী বড় ধরনের পরিবেশগত সংকটে পড়বে। তারা কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে বিশ্বনেতাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, বন সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
২০২৪ সালের এই পূর্বাভাস আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা। সময়োপযোগী পদক্ষেপ ছাড়া পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য ও মানবসভ্যতা বড় ধরনের সংকটে পড়তে পারে।